ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈদ শেষে বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ

ঈদ শেষে বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ

ঈদ শেষে বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো। পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ায় গত বছরের মতো এবারও সড়কপথে যাত্রীদের চাপ অনেকটা বেশি। তাছাড়া নৌপথেও যাত্রীদের প্রচন্ড ভীড়। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি লঞ্চও সামাল দিতে পারছেনা যাত্রীদের।

বরিশাল নদীবন্দরের দায়িত্বরতরা বলছেন, শনিবারের (১৩ এপ্রিল) থেকে পাশাপাশি রোববার (১৬ এপ্রিল) যাত্রীর চাপ থাকবে নৌপথে। আর যাত্রীদের অভিযোগ সুযোগ পেয়ে সড়ক-নৌসহ আকাশপথে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বিগত দিনের মতো এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো গতি হচ্ছে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে কাজ করছেন তারা। সেক্ষেত্রে যেকোনো অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীদের চাপ রয়েছে। আর বরিশাল নদীবন্দরও আকস্মিক চাপ বেড়ে যায়। তবে এ চাপও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগের মতো নয় বলে জানিয়েছেন নৌ-শ্রমিকরা। তাদের মতে আগে যেখানে যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ঈদের আগে ও পরে ১৫-২০টি লঞ্চের প্রয়োজন হতো, এখন তা ৮ থেকে ১০টিতেই সম্ভব।

শামীম আহম্মেদ নামে এক যাত্রী জানান, লঞ্চযাত্রা নিরাপদ হলেও অনেক সময়ের প্রয়োজন হওয়ায় এখন তিনি বাসেই বরিশাল থেকে ঢাকা আসা-যাওয়া করেন। তবে ঈদের সময় প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিবহন থাকায় এবং যাত্রীদের আগ্রহ থাকায় পাঁচশ টাকার ভাড়া সাড়ে ছয়শ থেকে সাতশ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে বাস মালিকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বেশি এক টাকাও আদায় করা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে শ্রমিকরা জানিয়েছেন, পরিবহন বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ে যাত্রী পেতে অনেকেই সরকার নির্ধারিত থেকে কম মূল্যে যাত্রী পরিবহন করেন। আর ঈদের সময় যাত্রীরা সেটাকে ন্যায্য হিসেবে তুলে ধরেন। তবে সরকার নির্ধারিত থেকে কোনো বেশি টাকা নেওয়া হয় না যাত্রীদের কাছ থেকে।

ঈদ,রাজধানীমুখী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত